Islamic Story #1


 

যারা যাদুটোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায়ই বলে থাকেন যে "এদের কি কোনো শাস্তি নেই?" তাদের জন্য নিচের পোস্টঃ


#যাদুকরের_শাস্তি 

(মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ হুজুরের বই থেকে উনার অনুমতি নিয়ে এখানে দিলাম) 


ব্ল্যাক ম্যাজিক


ইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো।


-আসসালামু আলাইকুম।

-ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।

-শায়খ! আমি অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি। আল্লাহ তা'আলা কি আমাকে ক্ষমা করবেন?

-কেনো ক্ষমা করবেন না, অবশ্যই ক্ষমা করবেন। নিশ্চই তিনি অতি ক্ষমাশীল অতি দয়ালু। 

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, (আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু(যুমারঃ ৫৩)। 


- কিন্তু আমার গুনাহটা অনেক বড় আর গুরুতর। আল্লাহ কিছুতেই আমাকে ক্ষমা করবেন না।


- না বোন! আপনি এমনটা ভাববেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

(নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া আর (সব) পাপ তিনি যাক ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ঘোরতর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (নিসাঃ১১৬)


-আমি সাত-সাতবার হজ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও কা'বাঘর নিজ চোখে দেখতে পাইনি।


শায়খঃ ইয়াল্লাহ! ইয়া রাব! 


মহিলাঃ আমি হেরেমে প্রবেশ করার পর তাওয়াফ কারীদেরকে দেখি, কিন্তু কা'বাঘর দেখতে পাই না। এমনকি একজন আমার হাত ধরে কা'বা শরী ছুঁইয়েও দেখিয়েছি। আমি হাত দিয়ে কা'বা ধরতে পেরেছি। কিন্তু কা'বা আমার সামনে দৃশ্যমান হয়নি।


শায়খঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আপনার পাপটা সত্যিই গুরুতর। বলুনতো কি এমন পাপ করেছেন? নিশ্চিত হয়ে বলুন, যাতে আমার বুঝতে সুবিধা নয়।


মহিলাঃ আমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পরও অনেকবার হয়েছে। আমি ঠিক বলতে পারছি না, কোন পাপের কারনে আমার এই অবস্থা হয়েছে। 


শায়খঃ অসম্ভব! এটা ছাড়াও অন্য কোনো পাপ আছে। শুধু অশ্লীলতার জন্য এমনটা ঘটতে পারে না। আপনি ভেঙে বলুন। আপনি কী করেছেন?


মহিলাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি একজন নার্স। আমার গোপনে সম্পর্ক ছিলো একদল ব্ল্যাকম্যাজিক (কালোজাদু) চর্চাকারীদের সাথে। তারা নানাভাবে জাদুচর্চা করতো। তারা শবসাধনা করতো।


জাদুকরের শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের হিমাগারে চুরি করে প্রবেশ করতাম। শবগুলো মুখে 'বিশেষ কাজ" করে মুখগুলো সেলাই করে দিতাম। শবগুলোকে এই অবস্থাতেই দাফন করা হতো। এই ন্যাক্কারজনক কাজ অসংখ্যবার করেছি।


শায়খঃ এমন কাজ কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জাদুবিদ্যা তো শিরক। 

নিশ্চয়ই শিরক বড় পাপ (লুকমানঃ১৩)


দুই সপ্তাহ পরে, ইক্বরা অনুষ্ঠানে একটা ফোন আসলো।


-আসসালামু আলাইকুম

- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।

- হ্যালো শায়খ! দু' সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ফোন করেছিলেন, আমি তার সন্তান।


শায়খঃ জি, বাবা! চিনতে পেরেছি। বলো কি খবর।


ছেলেঃ শায়খ! আমার আম্মু ইন্তিকাল করেছেন। তার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু দাফনের সময় এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ ধারণাও করতে পারি নি এমনটা কখনো ঘটতে পারে। 


শায়খঃ কী ঘটনা? 


ছেলেঃ জানাযার পর আমরা কবরস্থানে গেলাম। লাশ কবরে নামাতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধলো। আমরা কবরে নামলেই কবরটা সংকুচিত হয়ে আসে। লাশ বের করলে কবরটা আবার ঠিক হয়ে যায়। আবার লাশ নামালে কবরটা সংকুচিত হয়ে যায়। এমনকি আমাদের পক্ষে ভেতরে দাঁড়ানোও অসম্ভবত হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ ঘটনা দেখে, সাথে যারা ছিলো ভয়ে পারলিয়ে গেলো। তারা বললো, তোমার মা হয়তো এমন কোনও কাজ করেছে যে, কবর তাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আমি বসে বসে কাঁদতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক আসলে। তার পোশাক ছিলো অত্যন্ত উজ্জ্বল আর শুভ্র। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় এমন একজন মানুষ। তাকে দেখেই আমার মনে হলো, আমার আমনে এজন ফিরিশতা দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে তার সাথে কথা বলে বিশ্বাসটা আরও বদ্ধমূল হলো। তিনি বললেন,


তোমার আম্মুকে যেভাবে আছে রেখে চলে যাও। পেছনে ফিরে তাকাবে না। আমি কোনও কথা না বলে চলে আসলাম। কিছুদূর আসার পর আমি আর কৌতূহল দমন করতে পারলাম না। আমার মায়ের কী হলো সেটা না দেখে বাড়ি যেতে মন টানছিলো না। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, আকাশ থেকে প্রকাণ্ড এক অগ্নিগোলক ছুটে আসলো। চোখের নিমিষেই আম্মার লাশটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলো। খাটিয়াসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। 


আগুনের উত্তাপ এত প্রবল ছিল যে, এতদূর থেকেও আমার মুখটা ঝলসে গেল। শুধু দুচোখ অক্ষত রইলো। 


আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম, আমার চেহারা কেনো ঝলসে গেলো? আল্লাহ কি আমার প্রতি নারাজ?


শায়খঃ প্রিয় বৎস! সম্ভবত আল্লাহ তা'আল মায়ের পাপ থেকে তোমাকে পবিত্র করতে চেয়েছেন। তুমি তো তোমার মায়ের হারাম উপার্জনেই বড় হয়েছো। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর কাছেই ক্ষমা চাও। আল্লাহ আ'আলা তোমার জন্য যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো। 


[যারা যাদুকর/কবিরাজ/কুফরী হুজুরদের কাছে যান তারা নিজেদের পরিনতি সম্পর্কে সচেতন হোন। তওবা করে ফিরে আসুন। মৃত্যু অতি সন্নিকটে।]


Courtesy: Atik Ullah হাফিযাহুল্লাহ।

Cp...


Post By :- Ishan Bro

Post a Comment

Previous Post Next Post